• ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

রাউজানের দিঘিগুলোতে অতিথি পাখির কলকাকলি


দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি আসে চট্টগ্রামের রাউজানেও। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারখ্যাত উপজেলার বিভিন্ন দিঘি ও আশপাশের জলাভূমিতে এ সব পাখি দেখা যায়। হরেক রকম পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় চারপাশ। শীত মৌসুম থেকে এ সব পাখি আসা শুরু হয়। পাখিদের বিচরণ থাকে মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত। পাখিপ্রেমিকরা দূর-দূরান্ত থেকে বর্ণিল এ সব পাখি দেখতে ছুটে আসেন রাউজানে। এবারও তার ব্যতায় ঘটেনি।

অনেকে বলেছেন, সুদূর সাইবেরিয়া, এন্টার্কটিকাসহ বিভিন্নস্থান থেকে রাউজানের বেশ কয়েকটি দিঘিতে এবারও ছুটে আসে হাজার-হাজার পাখি। এরমধ্যে পরিযায়ীসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে।

এ দিকে পাখিদের ওড়াউড়ি, কিচির মিচির শব্দে মন কাড়ছে উত্সুক লোকজন-পর্যটকদের। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি অতিথি পাখির দেখা মেলে কদলপুর গ্রামের লস্কর উজির দিঘিতে। এই দিঘির অতিথি পাখি দেখতে ছুটে আসেন রাউজান ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ও পর্যটকরা। একসময় এই দিঘিতে অতিথি পাখি আসার ব্যাপক প্রচার ছিল। তবে এখন শুধু লস্কর উজির দিঘিতেই নয়, অতিথি পাখিদের মিলনমেলা হয়, উপজেলার নোয়াজিষপুরের ঈশা খাঁ’র দিঘি, নশরত বাদশার দিঘি, কদলপুরের মানছি পুকুর, জল পাইন্যার দিঘি, নোয়াপাড়ার জালোয়ার দিঘিসহ আরো বিভিন্ন দিঘিতে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজান সকল মানুষের নিরাপদ আবাস্থল। পাখিরাও রাউজানকে নিরাপদ মনে করে। অতিথি পাখিদের যেন কেউ ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য স্ব স্ব এলাকার চেয়ারমান ও প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল্লাহ আনছারী বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসেছে লস্কর উজির দিঘিতে। ভিনদেশি অতিথি পাখিগুলো হয়ে ওঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। তবে এবার কদলপুরের মানছি পুকুরেও বেশ অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে।’

নোয়াপাড়ার জালোয়ার দিঘি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিন বেলা ১১-১২টার মধ্যে এই দিঘিতে অতিথি পাখিসহ হাজার হাজার পাখি অবস্থান করে। পাখিদের ওড়াউড়ি স্থানীয়দের আনন্দ দেয়। অনেকে ঢিল মেরে পাখির নাচন দেখতে চায়। সন্ধ্যায় এসব পাখি চলে যায় অন্য অজানা স্থানে।

Rent for add