১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১৪:৪০:৪৫
বর্তমানে কৃষকদের চাষ করা বেশির ভাগ জনপ্রিয় ধানের জাতের বয়স ২০ বছরের বেশি। তাই বেশির ভাগ ধানের জাতের এখন উৎপাদনশীলতা কমে গেছে। এরই মধ্যে জনপ্রিয় নতুন জাতগুলো আগের জাতগুলোর স্থানে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা যায়নি। এ জন্য স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন এবং সেগুলো মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘অ্যাকসেলারেটেড জেনেটিক গেইন ইন রাইস নেটওয়ার্ক ট্রায়াল ২০২৩’-এর দুই দিনব্যাপী বার্ষিক অগ্রগতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হোমনাথ ভাণ্ডারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ইরি ফিলিপাইনের বিজ্ঞানী সংকল্প ভোসালে।
মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া অভিনব প্রজনন লাইন চিহ্নিত করে উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের এখনই উপযুক্ত সময়। ইরি, ব্রি, বিনাসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি অংশীদার ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষকদের সহায়তা করছে। ধানের জেনেটিক গেইন বাড়ানো সম্ভব হবে। ধান উৎপাদনে জেনেটিক গেইনের গতি বাড়ানোর জন্য ধানের প্রজননচক্রের সময়কাল সংক্ষিপ্ত করা, প্রজনন লাইন নির্বাচনের নির্ভুলতা উন্নত করা, প্রজনন তথ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশলগুলো ব্যবহার এবং ব্যাপকভাবে মাঠ গবেষণা করে ভৌগোলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক ফিক্সড লাইন উদ্ভাবন করে প্রতিনিয়ত নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।
Rent for add